প্রকাশিত: Mon, Aug 21, 2023 2:26 PM
আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 7:28 PM

[১]বাবর রোডের সেই বাড়িটি বরাদ্দ পেলেন কাদের সিদ্দিকী

সালেহ্ বিপ্লব: [২] রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে কয়েক যুগ ধরে বাস করছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। কিন্তু তার নামে ওই বাড়ি বরাদ্দের কোনো কাগজপত্র ছিল না। বাড়িটি দখলে রাখা নিয়ে বিভিন্ন সময় কথাও শুনতে হয়েছে তাকে।

[৩] ৫ দশক পর আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়িটি তার নামে বরাদ্দ হল। তিনতলা বাড়িসহ ২০/৩০ বাবর রোডের পাঁচ কাঠার ওই জমি বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়ে কাদের সিদ্দিকীকে অস্থায়ীভাবে বরাদ্দ দিয়েছে পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ড। সূত্র: বিডিনিউজ২৪ডটকম

[৪] তবে কাদের সিদ্দিকী দাবি করছেন, ১ হাজার ১ টাকায় তাকে ওই বাড়িটি লিখে দেওয়া হয়েছে। তিনি দলিলে সই করেছেন। এখন থেকে বাড়িটি তার।

[৫] বঙ্গবন্ধুর স্নেহভাজন কাদের সিদ্দিকী ১৯৭২ সাল থেকে বাড়িটিতে থাকছেন বলে তার ঘনিষ্ঠরা জানান। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে অস্ত্র হাতে নামার পর দেশ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। নির্বাসন থেকে ১৯৯০ সালে দেশে ফেরার পর সপরিবারে আবার সেই বাড়িতেই থাকা শুরু করেন তিনি।

[৬] এর মধ্যে ২০১২ সালে সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীরের এক প্রশ্নের উত্তরে তৎকালীন পূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান সংসদে বলেছিলেন, ২০/৩০ বাবর রোডের বাড়ি ‘অবৈধ দখলে’ রেখেছেন কাদের সিদ্দিকী।

[৭] তার ১১ বছর পর ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার সাগুফতা হকের স্বাক্ষরে ওই বাড়িটি কাদের সিদ্দিকীকে বরাদ্দ দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

[৮] কোন প্রক্রিয়ায় কাদের সিদ্দিকীর নামে পরিত্যক্ত বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা জানতে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সভাপতি মো. সাবিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বরাদ্দের ফাইলপত্র না দেখে এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি।

[৯] তবে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের একজন কর্মকর্তা জানান, শর্তসাপেক্ষে কাদের সিদ্দিকীর হাতে অস্থায়ী বরাদ্দপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তার সঙ্গে একটি চুক্তিপত্রও হয়েছে।

[১০] পরিত্যক্ত বাড়িটি অস্থায়ীভাবে বরাদ্দের বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, এক হাজার এক টাকায় বাড়িটির দলিল করে দিয়েছে। পাঁচ কাঠা জমি। শর্ত দেওয়ার বিষয়টি বোগাস। দলিলে ওরকম কিছু নেই। দলিলে ওগুলোর কিচ্ছু নেই। বাড়িটি সম্পূর্ণ আমার মালিকানায়।

[১১] তিনি বলেন, এই বাড়িটির বরাদ্দ পেতে ১৯৯০ সালে দেশে ফেরার পর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকার, এরপর খালেদা জিয়ার সরকার, তারপর আবার শেখ হাসিনার সরকারের কাছে আমি একই চিঠি দিয়েছিলাম।

[১২] ৬/৭ মাস আগে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলাম। উনি পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ডকে বলেছেন বাড়িটি আমাকে দিতে। তারা দিয়েছেন। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া